
বিশেষ প্রতিবেদক: ঢাকার পাশেই আশুলিয়ার শিল্প এলাকা। নগরায়নও গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। আশুলিয়া, সাভার এলাকায় দেশের ৬৪ জেলার মানুষ পাওয়া যায়। একটা পুরোনো কথা। মাঝেমধ্যে বিদেশিদের যাতায়াতও সেখানে কম নয়। কিন্তু সেখানেই এখন চলছে যাত্রার নামে অবাধ যৌনতা!
এক ঘনিষ্ট সূত্র বলছে, আশুলিয়ায় যাত্রার নামে ঢোল, তবলা আর বাহারি বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে শো শুরু হলেও আলাদা আকর্ষণ পুতুল নাচ। কাঙ্ক্ষিত প্যান্ডেলের নিচে প্রবেশ করলেই মিলবে অন্য দুনিয়ার সন্ধান। যেখানে কিছু ক্ষণ পরপর বিরতি দিয়ে বাদ্যযন্ত্রের তাল পরিবর্তিত হয়। আর সেই তালে সঙ্গতি রেখে একের পর এক জামা খুলতে থাকে যৌন পসারিণীরা।
হ্যাজাক লাইটের আলোয় চারদিকে ছেলে ছোকরাদের শিষ আর হাততালি। সবকিছু মিলিয়ে এক ভিন্ন রকম পরিবেশ। স্টেজে থাকা নারীকে বখশিস দিয়ে চাইলে যে কেউ স্পর্শ করতে পারছে পছন্দসই অঙ্গ। সেখানে কেউ খুলছে ব্রা এর হুক, কেউ স্পর্শ করছে নাভি, আর কেউ কেউ…।
আর বখশিশের পরিমাণ বেশি হলে রয়েছে পেছনের তাবুতে গিয়ে যৌন সম্ভোগের সুযোগ। পুতুল নাচের নামে এসবই চলছে এখন। তবে এই ধরণের পুতুল নাচ হয়ে থাকে বিভিন্ন মেলার নামে। বিশেষ করে নগরায়ন এলাকায়। যেখানে ভাড়াটিয়া ও শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা বেশি। ঢাকার আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই ধরণের পুতুল নাচ সংস্কৃতি গড়ে উঠছে। যেখানে প্রকাশ্যভাবেই চলছে যৌনতা। আর এতে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক যেমন বাড়ছে। তেমনি বাড়ছে যৌন সম্পর্কিত অপরাধ।
পুতুল নাচের মতো যাত্রা পালাতেও এখন যৌনতা চলছে। অথচ এককালে গ্রামের মানুষের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই যাত্রা পালা। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এই যাত্রা পালাই আজ যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। পাড়া মহল্লায় যাত্রা পালার নামে চলে যৌনাচার। এতে করে সামাজিক অস্থিরতার পাশাপাশি নৈতিক স্খলনজনিত ঘটনাও বাড়ছে।